Powered By Blogger

চিকামিকা

রাজুকে ঘুম থেকে উঠানো পৃথীবির সব থেকে কঠিন কাজ গুলোর একটি। এমনিতে সে অলস না,তবে ঘুম তার খুব প্রিয় কাজ।কিন্তু আজকে রাজু নিজেই উঠে গেল।প্রথমে সে ব্যাপার টা বুঝতে পারলনা।প্রতিদিনই মা না হয় বাবা ঘুম থেকে তোলেন কিন্তু আজ এমনি এমনি ঘুম ভেঙে গেল কেন-সেটা রাজু বুঝতে পারলনা।

কোন একটা সমস্যা আছে কিন্তু সেটা কি রাজু ধরতে পারছেনা।রাজু উঠে বসল।
একি তার সামনে এটা কি দাঁড়িয়ে আছে!
রাজু হা হয়ে গেল।কি অদ্ভুত জন্তু!প্রানীটার গায়ের রঙ সবুজ।কানের জায়গায় দুটো এন্টেনার মত জিনিস।চোখ গুলো পুরোপুরি টেনিস বলের মত।মুখমন্ডলও গোল।হাত দুটো কেমন যেন শুকনো।প্রানীটা রাজুর একটা হাফ-প্যান্ট পড়ে আছে।

জন্তুটা দেখে রাজুর ভয় পাওয়া উচিত ছিল।কিন্তু এমন হাস্যকর একটা চেহারা দেখে রাজুর হাসি পেল।সে হো হো করে হাসতে লাগল।জন্তুটা যেন একটু অবাক হল।এমনিতেই চোখ দুটো গোল বলে সব সময়ই মনে হয় অবাক হয়ে আছে।প্রানীটা পরিষ্কার বাংলায় বলল,
"তুমি আমাকে দেখে হাসছো কেন?"
রাজু প্রানীটার মুখে মানুষের মত কথা শুনে অবাক হল,তারপরও ভয় পেলনা।বলল,
"তোমার চেহারা দেখলেই তো হাসি পায়।হি হি হি....."
"কি আশ্চর্য!এর আগে আমি যাদের সামনে গিয়েছি তারা কেউ চিৎকার করেছে,কেউ কান্না শুরু করেছে।কেউ কেউ আবার অজ্ঞানও হয়ে গেছে।তুমিই কেবল অন্যরকম।"

রাজুর ভারি অবাক লাগল।এরকম কোন প্রানীর কথা তো সে আগে কখনো শুনেনি।সে বলল,
"তুমি কে?কোথা থেকে এসেছ?"
"আমি এলিয়েন।এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির কটকটি গ্রহে থাকি।"

রাজু উত্তেজনায় কথা বলতে পারলনা।এলিয়েন!সে কত সায়েন্স ফিকশনে এলিয়েনের কথা পড়েছে।আর এলিয়েন তার সামনে!সে কোন মতে নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
"তোমাকে কেউ দেখেনি?পৃথীবির বিজ্ঞানিরা জানতে পারলে তোমানে ধরে নিয়ে যাবে।"
"তোমাদের প্রযুক্তি খুবই দুর্বল আর পুরানো।আমাকে কিছুতেই ধরতে পারবেনা।শুধু আমি যাদের সামনে আসতে চাইব তারাই আমাকে দেখতে পারবে।"

রাজু এর মধ্যে নিজেকে অনেক টা সামলে নিয়েছে।সে বলল,
"তোমার নাম কী?"
"আমার নাম চিকামিকা।"
নাম শুনে রাজু হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগল।যেমন অদ্ভূত দেখতে তেমনি অদ্ভূত নাম!চিকামিকা জিজ্ঞেস করল,
"হাসছো কেন?"
"তোমার নাম টা কি অদ্ভুত",বলেই রাজু আবার হাসতে লাগল।
চিকামিকা আবার জিজ্ঞেস করল,"তোমার নাম কী?"
"রাজু।"
এবার চিকামিকা যা করল তা আসলেই ভয়ানক।তার মুখটা বিকট হা করে হাত পা ছুড়তে লাগল।এবার রাজু সত্যি সত্যিই ভয় পেল।ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল,
"তুমি এমন করছো কেন?"
"তোমার নাম শুনে হাসি পাচ্ছে।"
"এই তোমার হাসি!আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।"
"তোমার নামটাও অদ্ভূত।"
"মোটেই না।আচ্ছা তুমি আমাদের ভাষায় কথা বলছ কিভাবে?"
"আমি আমার ভাষাতেই কথা বলছি।আমার মুখে যে যন্ত্র আছে সেটা তোমার ভাষায় অনুবাদ করে দিচ্ছে।অনেক উন্নত প্রযুক্তি,তা তোমাদের নেই।"

চিকামিকা রাজুর অনেক কাছে দাঁড়িয়ে আছে।রাজু তাকে ছুয়েও দেখল।কেমন রাবারের মত শরীর।রাজু জিজ্ঞেস করল,"তুমি কি পৃথীবিতে থাকবে?"
"না আমি বেড়াতে এসেছি।পৃথীবির ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার।আমাকে মাত্র দুই ঘন্টার সময় দিয়েছে।বিভিন্ন জায়াগা ঘুরতে ঘুরতে আধা ঘন্টা চলে গেছে।যার কাছে যাই সেই বিকট চিৎকার দেয়।কান্নাকাটি শুরু করে।তুমিই কেবল ভয় পাওনি।"
"আমাকে তো এখন স্কুলে যেতে হবে।যদিও আরো দু ঘন্টা পরে।"
"স্কুল কী?"
"সে কি তুমি জাননা?তোমাদের ওখানে স্কুল নেই?"
তারপর রাজু চিকামিকা কে স্কুল,হোমওয়ার্ক এসব ব্যাপার বুঝিয়ে দিল।
হোমওয়ার্কের কথা শুনে চিকামিকা বলল,"কি বাজে ব্যাপার!একটা জিনিস তো হাকামাকাতেই শেখা হয়ে যায়।সেটা আবার বাসায় লিখতে হবে কেন?"
"হাকামাকা আবার কি?",রাজু জিজ্ঞেস করে।
"তোমাদের যেটা স্কুল,আমাদের সেটা হাকামাকা।তবে আমাদের তোমাদের মত হোমওয়ার্ক করতে হয়না।"

অল্পক্ষণেই রাজুর সাথে চিকামিকার গভির বন্ধুত্ব হয়ে গেল।চিকামিকা বলল যে সে রাজুর সব কিছু জানে-অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ-সব।রাজু শুনে অবাক হল,
"সব জানো কিভাবে?"
"আমাদের প্রযুক্তি অনেক উন্নত।আমি যার কাছে যাই আগে তার সম্পর্কে সব জেনে যাই।"
"ভবিষ্যৎ জানো কিভাবে?"
"সিনুং জিনুং ব্যবহার করে।"
"সেটা আবার কি?"
"দাঁড়াও তোমাদের ডিকশনারি দেখতে হবে"।চিকামিকা কি যেন ভাবল,তারপর বলল-
"ও হ্যা,তোমরা যেটাকে টাইম মেশিন বল সেটাই হল সিনুং জিনুং।"

রাজু প্রচন্ড অবাক হয়ে বলল,"তোমরা টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেলেছ!"
"হ্যাঁ"
"আমাকে আমার ভবিষ্যৎ দেখাবে?"
"ভবিষ্যৎ জানতে চাও?"
"হ্যাঁ নিয়ে চলনা।"
"কিন্তু আমার কাছে সময় আছে মাত্র এক ঘন্টা।ঠিক আছে চল।তোমাকে কিছু কিছু জিনিস দেখাই।"

উত্তেজনায় রাজু শুধু লাফাচ্ছে।কি মজা!টাইম মেশিন!রাজু স্বপ্নেও কোনদিন ভাবেনি।

চিকামিকা একটা ঘড়ির মত যন্ত্র বের করল,সেটায় অনেক গুলো কাটা।চিকামিকা বলল,"আমার হাত ধর,আর চোখ বন্ধ করে রাখো।"
রাজু তাই করল।হঠাৎ করে রাজুর মনে হল সে কোথাও পড়ে যাচ্ছে।নীচে যেন মাটি নেই।কিছুক্ষণ সে পায়ের নিচে মাটি টের পেল।এরপর সে চোখ খুলল।কি আশ্চর্য!রাজু বাসার বাইরে কোন এক জায়াগায় দাঁড়িয়ে আছে।রাস্তায় অনেক মানুষ।আশেপাশে কত পরিবর্তন।সুন্দর সুন্দর বাড়ি,দোকান আরো কত কি!
রাজু চিকামিকা কে জিজ্ঞেস করল,"তোমাকে কেউ দেখতে পাচ্ছেনা?"
"না,আমি যাকে দেখা দিতে চাই সেই আমাকে দেখতে পায়।তোমাকে কিন্তু সবাই দেখতে পাচ্ছে।চল তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাই।"

রাজু চিকামিকার সাথে একটা স্কুলের সামনে আসল।তার বয়সী অনেক বাচ্চা সেখানে।স্কুল ছুটি হয়েছে,সবাই বাবা-মার সাথে বাসায় ফিরে যাচ্ছে।চিকামিক বলল,"ঐ যে দেখ নীল শাড়ি পড়া মহিলা,ঐ টা তোমার বউ।আর তার সাথে যে ছেলেটা ওটা তোমার ছেলে।"
রাজু বিস্ময়ে হা হয়ে গেল।প্রচন্ড অবাক সে।বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করল,বলল,
"ওটা কি করে আমার ছেলে হবে।ও তো আমার বয়সি।"
চিকামিকা বলল,"আরে বোকা,এখনকার তুমি না।ভবিষ্যতের তুমি।"
তাও রাজুর কাছে পুরো ব্যাপারটা বিস্ময়কর মনে হল।নীল শাড়ি পড়া সেই সুন্দর মহিলাটি আর তার ছেলে ওদের পাশ দিয়েই যাচ্ছিল।হঠাৎ করে রাজুর দিকে চোখ পড়তেই মহিলাটি দাঁড়িয়ে গেল,অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকল।মহিলাটি রাজুর কাছে এসে ওর থুতনি ধরে জিজ্ঞেস করল,"তোমার নাম কি খোকা?"
রাজু ভিষণ ভয় পেয়ে গেছে।আসল নাম বলা ঠিক হবে কিনা ভাবল।তারপর বলল,"সুমন।"
মহিলাটি আবার জিজ্ঞেস করল,"তোমার বাবার নাম কি?কোথায় থাক তুমি?"
রাজু বানিয়ে বানিয়ে সব বলল।সে এখান থেকে যেতে পারলেই বাচে!এই মহিলা কিনা তার বউ!কি অদ্ভূত ব্যাপার।রাজু লক্ষ করল তার ছেলের বা গালে একটা তিল।

এরপর রাজু চিকামিকার সাথে আরো অনেক জায়গা ঘুরে দেখল।চিকামিকা বলল,"তোমার জীবন কিন্তু অনেক মজার হবে,আমি জানি।"
রাজু কি ভেবে যেন বলল,"আমি আমাকে দেখতে চাই।"
 "ঠিক আছে চল।"
যেখানে ওরা আসল সেটা রাজু চেনে,বাবার সাথে এসেছিল।এটা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।কিন্তু চিকামিকা তো তা জানেনা।সে রাজুকে একটা জায়গায় নিয়ে গেল।একটু দূরে একজন কে দেখিয়ে বলল,"ঐ যে দেখ তুমি।"
রাজু দেখল ভবিষ্যতের রাজুকে।নিজেকে চিনতে একটুও অসুবিধা হলনা ওর।তবে চেহারায় অনেক পরিবর্তন এসেছে!
রাজু চিকামিকা কে জিজ্ঞেস করল,"আমি এখানে কি করি?"
"তুমি এই হাকামাকার ভুং-ভাং মানে শিক্ষক।"

হঠাৎ দেখল ভবিষ্যতের রাজু কি মনে করে ওদের দিকে আসছে।আবার হঠাৎ করে অন্যদিকে চলে গেল।বর্তমানে রাজু চিকামিকাকে জিজ্ঞেস করল,"আচ্ছা ঐ রাজু তো জানে যে আমরা এখানে আছি,তাইনা?"
"হ্যাঁ জানে।কারণ ওর ছোটবেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল।"
"তাহলে ও এখানে আসলোনা কেন?"
"কারণ ও জানে যে আমরা এখন চলে যাব।আমার হাতে আর সময় নেই।এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে।"
"কিন্তু আমার তো আরো অনেক কিছু দেখার ছিল।"
"আমার কিছু করার নেই ভাজু।"
"ভাজু নয় রাজু।"
"ঐ হল।চল তাহলে তোমাকে পৌছে দিয়ে আসি।"

রাজু চোখ বন্ধ করে চিকামিকার হাত ধরল।আবার তার মনে হল সে পড়ে যাচ্ছে।সে নিজেকে তার বিছানায় আবিষ্কার করল।সে চোখ খুলতে চাইছে কিন্তু পারছেনা।এরই মধ্যে দেখল চিকামিকা তাকে হাত নেড়ে বিদায় জানাচ্ছে।

রাজুর ঘুম ভাঙলো মায়ের ডাকে,"কিরে রাজু স্কুলে যাবিনা?ওঠ তাড়াতাড়ি।"
রাজু ঘুম থেকে উঠে বসল।তাহলে সে কি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিল?কিন্তু স্বপ্ন এত বাস্তব হয়?রাজু ভাবতে ভাবতে স্কুলের জন্য তৈরি হতে লাগল।

এরপর দীর্ঘদিন রাজু সেদিনের ব্যাপারটাকে খুব সুন্দর একটা স্বপ্ন হিসেবেই ভাবছিল।কিন্তু পুরো ব্যাপারটা সে আবার বিশ্বাস করতে শুরু করল যেদিন ভার্সিটিতে মিলি নামের একজনের সাথে তার পরিচয় হল।এই মেয়েটিকেই সে নীল শাড়িতে দেখেছিল!রাজু পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল এই মিলির সাথেই তার প্রেম হবে,বিয়ে হবে।সত্যিই কিছুদিনের মধ্যে মিলির সাথে রাজুর খুব ভাল সম্পর্ক হল।কিন্তু তাদের বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কিছু জটিলতা দেখা দিল।তখন মিলি দুশ্চিন্তায় অস্থির হয়ে গেলেও রাজুকে বেশ ফূর্তিতেই দেখা যাচ্ছিল।মিলি তখন রেগে জিজ্ঞেস করল,"তোমার কোন ভাবনা হচ্ছেনা?না কি এটা তোমার কাছে কোন ব্যাপার ই না?"
"ভাবনা করার কি আছে?আমাদের বিয়ে তো হবেই।আমাদের একটা ছেলেও হবে,তার বা গালে একটা তিল থাকবে।"
মিলি তখন হতাশ হয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল।সে লক্ষ করেছে রাজুর মধ্যে একটু পাগলামি আছে।কোন কিছুকেই সে সিরিয়াস ভাবে নেয় না।
রাজুর চাকরি নিয়েও পরিবারের সবাই কম বেশি চিন্তিত ছিল।কিন্তু রাজু তখন বলত,"এত চিন্তার কি আছে?আমার তো ভার্সিটিতে চাকরি হয়েই যাবে।"
সত্যিই যখন সে চাকরিটা পেল তখন কেউ বলল রাজু অনেক আত্মবিশ্বাসী আবার কেউ বলল রাজুর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বেশ প্রখর।
সত্যি সত্যি এরপর মিলির সাথে রাজুর বিয়েও হয়ে গেল!
রাজুর দিনকাল ভালই চলছিল।এক সময় মিলির ছেলে হল।মিলি যখন দেখল ছেলেটার বা গালে তিল তখন তার বিস্ময়ের সীমা রইলো না।সে রাজুকে অনেক চাপাচাপি করেও কিছু জানতে পারলনা।তবে একসময় রাজু বলেছে,"চিকামিকা বলেছে।"কিন্তু এই চিকামিকা জিনিস টা কি সেটা মিলি বহু চেষ্টা করেও জানতে পারলনা।
মিলি লক্ষ করেছে রাজু আরো অনেক অদ্ভূত কিছু শব্দ ব্যবহার করে।যেমন স্কুল কে সে বলে হাকামাকা,শিক্ষক কে সে বলে ভুং-ভাং আর নিজের নাম বলে ভাজু!

একদিন বিকেল বেলা মিলি রাজুকে বলছে,
"জানো আজকে না একটা বাচ্চার সাথে দেখা হয়েছে।তুমি ছোটবেলায় যেমন ছিলে ছেলেটা দেখতে অবিকল সেরকম।"
রাজু বলল,"ছেলেটার নাম কি সুমন?"
মিলি প্রচন্ড অবাক হয়ে বলল,"তুমি জানলে কি করে?"
"চিকামিকা বলেছে।"
মিলি শত চাপাচাপি করেও আসল রহস্য টা জানতে পারেনি।সব রহস্য জানতে হবে এমন কোন কথা আছে???
-৯/৩/২০১০





(কিছু কথা না বললেই নয়।এই গল্পটি লিখেছিলাম ২০১০ সালে।অর্থাৎ আমি তখন টিন-এজার।এই গল্পটিতে অনেক কিছু করা যেত,আরো সুন্দর করা যেত।কিন্তু আমি এখানে লেখার সময় কাগজে যেটা লিখেছি সেটাই টাইপ করে গেছি,একটা শব্দেরও পরিবর্তন করিনি।আমার তখন আবেগের বয়স বলে গল্পটিতে হালকা সস্তা রোমান্স এসেছে।আমি নিজেকে ভার্সিটির শিক্ষক হিসেবে দেখতে চাই বলে গল্পেও সেটি প্রকাশ পেয়েছে।এটা একটা মজার গল্প,এখানে শিক্ষণীয় কিছু নেই।তারপরও এখন টাইপ করার সময় লক্ষ করলাম এতে প্রচ্ছন্ন ভাবে একটা শিক্ষনীয় ব্যাপার এসেছে,সেটা হল-কোন কিছু অন্তর থেকে বিশ্বাস করলে সেটা সত্যি হবেই।গল্পটা বিচার করার সময় ৩ বছর আগের রাফীকে বিচার করতে হবে।আমিতো শুধু লেখাটা ডিজিটাল করলাম মাত্র।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন